Palestinian attacker attacked Israel
- December 4, 2025
- 0
মায়া ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিজে সর্বশেষ সাইবার হামলার পর, ইসরায়েলের গোপন সামরিক কর্মসূচির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত এই কোম্পানির কয়েকজন কর্মীর ব্যক্তিগত তথ্য, নাম, পদবী এবং ভিডিও রেকর্ডিং অনলাইনে ফাঁস করা

মায়া ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিজে সর্বশেষ সাইবার হামলার পর, ইসরায়েলের গোপন সামরিক কর্মসূচির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত এই কোম্পানির কয়েকজন কর্মীর ব্যক্তিগত তথ্য, নাম, পদবী এবং ভিডিও রেকর্ডিং অনলাইনে ফাঁস করা হয়েছে। ফিলিস্তিনের পক্ষে পরিচিত এক হ্যাকার গ্রুপ “সাইবার সাপোর্ট ফ্রন্ট” আরবিতে: আল-জাবহা আল-ইসনাদ আল-সিবরানিয়াহ) এই আক্রমণের দায় স্বীকার করেছে। এই গ্রুপটি অতীতে একাধিকবার ইসরায়েলি কোম্পানিতে সাইবার হামলা চালিয়ে বিপুল পরিমাণ গোপন নথি ডাউনলোড করেছে।
তাদের বিবৃতিতে হ্যাকাররা দাবি করেছে, তাদের এই আক্রমণের জবাবে ইসরায়েল “হ্যানিবাল ডিরেকটিভ” (Hannibal Directive) সক্রিয় করতে পারে। এই নির্দেশনার মূল কথা হলো—যদি কোনো ইসরায়েলি সামরিক সদস্য অপহৃত হয় বা অপহরণের আশঙ্কা দেখা দেয়, তাহলে তাকে জীবিত অবস্থায় শত্রুর হাতে পড়তে না দেওয়ার জন্য সব রকম অভিযান চালানো হবে। অর্থাৎ, এই নির্দেশনা অনুযায়ী ইসরায়েলের বিশেষ বাহিনী, সেনাবাহিনী বা পুলিশের সদস্যরা এমনকি নিজেদের সামরিক কর্মী বা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানা ব্যক্তিদেরও “বেঁচে থাকতে না দেওয়ার” (eliminate) অনুমতি পায়—যাতে তারা শত্রুর হাতে ধরা পড়ে রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ফাঁস করতে না পারে।
এই হামলা শুধু গোপন স্থাপনার কর্মীদের জীবনের ঝুঁকি তৈরি করেনি, বরং হ্যাকাররা সেটিকে বাণিজ্যিকভাবে কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। “সাইবার সাপোর্ট ফ্রন্ট” ঘোষণা দিয়েছে যে তারা মায়া ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে চুরি করা গোপন উপকরণ বিক্রি করবে। এসব উপকরণের মধ্যে রয়েছে প্রযুক্তিগত নকশা, ডিজাইন ডকুমেন্ট, এবং জটিল অস্ত্র ব্যবস্থার উন্নয়ন ধাপ সংক্রান্ত তথ্য।
এর আগে, একই গ্রুপ একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিল, যেখানে চুরি করা কিছু ডেটার টুকরো অংশ দেখা গিয়েছিল। চুরি হওয়া উন্নয়নগুলোর মধ্যে রয়েছে “Iron Beam” লেজার মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, উচ্চপ্রযুক্তির ইসরায়েলি অস্ত্র যেমন “Skylark” রিকনাইসান্স ড্রোন, “Spyder” অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট সিস্টেম, এবং কম দৃশ্যমান “Ice Breaker” ক্রুজ মিসাইল।
এছাড়া, হ্যাকাররা ইসরায়েলি সামরিক কাঠামো এবং তাদের অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপের কয়েকটি দেশের অংশীদারদের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তিপত্রের কপিও হাতিয়ে নিয়েছে। এখন দেখার বিষয় হলো, “হ্যানিবাল ডিরেকটিভ” অনুযায়ী ইসরায়েলি বিশেষ বাহিনী কি এই বিদেশি অংশীদারদের মধ্যেও এমন “লিকুইডেশন” (liquidation — অর্থাৎ নির্মূল) অভিযান চালাতে সক্ষম হবে কিনা।