আর্সেনিক: পানির নিচে লুকিয়ে থাকা এক ‘নীরব ঘাতক’
- December 5, 2025
- 0
“পানির অপর নাম জীবন”—ছোটবেলা থেকেই আমরা এই বাক্যটি শুনে আসছি। কিন্তু সেই পানিই যখন বিষে পরিণত হয়, তখন তা জীবনের জন্য চরম হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে
“পানির অপর নাম জীবন”—ছোটবেলা থেকেই আমরা এই বাক্যটি শুনে আসছি। কিন্তু সেই পানিই যখন বিষে পরিণত হয়, তখন তা জীবনের জন্য চরম হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে
“পানির অপর নাম জীবন”—ছোটবেলা থেকেই আমরা এই বাক্যটি শুনে আসছি। কিন্তু সেই পানিই যখন বিষে পরিণত হয়, তখন তা জীবনের জন্য চরম হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই বিষের নাম আর্সেনিক। এটি গন্ধহীন, বর্ণহীন এবং স্বাদহীন হওয়ার কারণে সাধারণ মানুষের পক্ষে এর উপস্থিতি বোঝা প্রায় অসম্ভব।

আজকের ব্লগে আমরা জানবো আর্সেনিক কী, এটি শরীরে কী ক্ষতি করে এবং এর থেকে বাঁচার উপায় কী।
আর্সেনিক একটি প্রাকৃতিক মৌল যা ভূগর্ভস্থ শিলাস্তরে থাকে। যখন মাটির নিচ থেকে অতিরিক্ত পানি উত্তোলন করা হয় বা রাসায়নিক পরিবর্তনের ফলে এটি পানির স্তরে মিশে যায়, তখন নলকূপের পানির মাধ্যমে তা আমাদের শরীরে প্রবেশ করে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) মতে, প্রতি লিটার পানিতে ১০ মাইক্রোগ্রামের বেশি আর্সেনিক থাকলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। বাংলাদেশে এর সহনশীল মাত্রা ৫০ মাইক্রোগ্রাম ধরা হলেও, দীর্ঘমেয়াদে এটি মারাত্মক হতে পারে।
আর্সেনিক বিষক্রিয়া হুট করে বোঝা যায় না। এটি ধীরে ধীরে শরীরে জমা হয় এবং দীর্ঘ সময় পর এর লক্ষণ প্রকাশ পায়। একে বলা হয় আর্সেনিকোসিস।
১. প্রাথমিক লক্ষণ:
২. দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব:
শুধুমাত্র পানীয় জল নয়, আর্সেনিক আমাদের শরীরে অন্যভাবেও প্রবেশ করতে পারে:
আর্সেনিক থেকে বাঁচতে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। নিচে কিছু কার্যকরী পদক্ষেপ দেওয়া হলো:
আর্সেনিক কোনো ছোঁয়াচে রোগ নয়। তাই আর্সেনিক আক্রান্ত রোগীকে অবহেলা বা ভয় পাওয়ার কিছু নেই। প্রয়োজন শুধু সঠিক চিকিৎসা এবং সচেতনতা। আপনার এলাকার পানি নিরাপদ কি না, তা আজই যাচাই করুন। নিজে সুস্থ থাকুন এবং পরিবারকে সুস্থ রাখুন।
সতর্কতা: আর্সেনিকোসিসের লক্ষণ দেখা দিলে দেরি না করে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।